বাংলাদেশ থেকে পাঁচ খাতে পেশাদার দক্ষ কর্মী নেবে সৌদি আরব। এগুলো হলো- প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান এবং এসি মেকানিক। এ উপলক্ষ্যে ঢাকার সৌদি দূতাবাসে মঙ্গলবার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সঙ্গে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির (এসভিপি) আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম এবং বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম বলেন, সৌদি আরবে পাঁচটি খাতে বিদেশিদের কাজ করতে হলে ওই দেশের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ওই খাতগুলোতে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অধীনে বাংলাদেশিদের পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণত অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল। তবে দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল। প্রতি রিয়াল ৩০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৪ হাজার টাকা।
সৌদি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিএমইটি ও সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানল’র মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ওই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এজন্য শ্রমিকদের কোনো অর্থ লাগবে না। একজন বাংলাদেশি যতবার ইচ্ছা ততবার পরীক্ষা দিতে পারবে। সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
পরীক্ষায় কী কী বিষয় থাকতে পারে প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আরবি ভাষা ও কিছু রীতিনীতি এবং তারা নতুন যন্ত্রপাতি যেমন- মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে কিনা, সেটি আমরা দেখব।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একাধিক সৌদি ব্যবসায়ী আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।’ নতুন এই ব্যবস্থার কারণে প্রথাগত শ্রমিকদের সৌদি আরবে যেতে কোনো বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমরা পাঁচ হাজার ভিসা ইস্যু করছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।